দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১৭৭ জন নিহত

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ২৯ ডিসেম্বর, রোববার সকালে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। যাত্রীদের জন্য হৃদয়বিদারক এই ঘটনার পর, এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, তবে বেশিরভাগ যাত্রী মারা গেছেন। দুর্ঘটনার সময় বিমানটি রানওয়ে দিয়ে দ্রুত চলতে চলতে এক পর্যায়ে দেয়ালের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে বিস্ফোরিত হয়ে আগুনে পুড়ে যায়।

২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর, রোববার সকালে, দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে ১৭৭ জন প্রাণ হারান। দুর্ঘটনাটি ঘটে বিমানটি অবতরণের সময়। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায়, ধ্বংসস্তূপ থেকে দুটি প্রাণী উদ্ধার হলেও, অধিকাংশ যাত্রী মারা গেছেন। দুর্ঘটনার সময় বিমানটি রানওয়ে দিয়ে দ্রুত চলতে চলতে এক সময় দেয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে বিস্ফোরিত হয়ে আগুনে পুড়ে যায়।

দুর্ঘটনার বিস্তারিত: এটি দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে অন্যতম মর্মান্তিক ঘটনা। ন্যাশনাল ফায়ার এজেন্সি নিশ্চিত করেছে যে এই দুর্ঘটনায় মোট ১৭৭ জন নিহত হয়েছে। বিমানের একজন যাত্রী এবং একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ছাড়া সকলেই নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এখনও কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে প্রাথমিকভাবে পাখির সাথে সংঘর্ষ এবং খারাপ আবহাওয়া এর জন্য দায়ী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতদের পরিবার ও আত্মীয়দের জন্য শোক: এই দুঃখজনক বিমান দুর্ঘটনা পর, আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে যে, জীবন অস্থির এবং মৃত্যু আল্লাহর ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। প্রতিটি মানুষের মৃত্যু সময়ের পূর্বেই নির্ধারিত। আল্লাহ বলেন, “কোথাও তোমরা থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদেরকে পেতে আসবেই, এমনকি যদি তোমরা শক্তিশালী দুর্গের মধ্যে আশ্রয় নাও নিয়ে থাকো।” (সুরা নিসা, ৪:৭৭)

এখন, যারা এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের জন্য আমাদের অন্তরের গভীর শোক এবং সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন এবং তাদের পরিবারকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক দিন। আল্লাহ তাআলা বলেন, “আল্লাহ যাদেরকে পছন্দ করেন, তাদের উপর অনেক পরীক্ষা দেন, তবে যারা ধৈর্য ধারণ করে, তাদের জন্য আল্লাহর পুরস্কার বড়।” (সুরা আল-বাকারা, ২:১৫৪)

প্রার্থনা ও ধৈর্যের বার্তা: আমরা সকল মুসলমানদের প্রার্থনা করছি, যেন আল্লাহ তাআলা এই মর্মান্তিক মুহূর্তে নিহতদের পরিবার, পরিজন এবং শোকার্তদের জন্য শান্তি এবং সান্ত্বনার ব্যবস্থা করেন। এই ক্ষতির পরেও তাদের মনোবল দৃঢ় রাখতে আল্লাহর সাহায্য অশেষ।

এছাড়াও, আমরা উদ্ধারকর্মী এবং জরুরি পরিষেবা কর্মীদের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, যেন আল্লাহ তাদের হেফাজত করেন এবং তাদের শ্রমের ফলস্বরূপ আল্লাহ তাদের পুরস্কৃত করেন।

জীবনের অস্থিরতা এবং তাওকুলের শিক্ষা: এই ধরনের দুর্ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জীবন খুবই অস্থির এবং অস্থায়ী। আমাদের উচিত আল্লাহর উপর তাওকুল রেখে প্রত্যেক মুহূর্তকে অর্থপূর্ণ করে তোলা। আল্লাহর কাছে তওবা করে, তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা এবং আমাদের চারপাশে থাকা মানুষের কল্যাণ কামনা করা উচিত।

উপসংহার: আল্লাহ তাআলা নিহতদের আত্মাকে শান্তি এবং তাদের পরিবারকে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দিন। আমিন।

My Self Confidence Takes Me Forward!


Sharing Is Caring:          

Leave a Comment